নির্বাচনী মাঠে সাবেক আইজিপি নূর মোহাম্মদ

নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন সাবেক সচিব নূর মোহাম্মদ। পুলিশের সাবেক আইজি নূর মোহাম্মদ সর্বশেষ যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব পদ থেকে অবসরে গেছেন। তিনি কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া) আসন থেকে নির্বাচন করতে আগাম প্রচারণা শুরু করেছেন।

এ জন্য নির্বাচনী এলাকায় বিয়ে, কুলখানি, সুন্নাতে খতনাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছেন। এছাড়া পথসভা ও ছোটখাটো জনসভা করছেন। তার সমর্থকরা বলছেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় হাইকমান্ডের সবুজ সংকেত পেয়েই সাবেক পুলিশ প্রধান নূর মোহাম্মদ নির্বাচনী তৎপরতা শুরু করেছেন।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মো. সোহরাব উদ্দিন। একই সঙ্গে তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য। তিনি ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়া অ্যাডভোকেট মো. সোহরাব উদ্দিনের বিপরীতে নূর মোহাম্মদ আওয়ামী লীগের নতুন প্রার্থী হিসেবে জানান দিচ্ছেন। এর অংশ হিসেবে গত ৭ই মে বিকালে তিনি কটিয়াদী মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল কার্যালয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে মতবিনিময়, কটিয়াদী বাসস্ট্যান্ডে এক পথসভা ও তিন শতাধিক মোটরবাইক নিয়ে শোডাউন করেন।

মতবিনিময় ও পথসভায় তিনি বলেন, ‘আমি আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করার জন্য আপনাদের সমর্থন ও সহযোগিতা চাই। আমি দেয়ার জন্য এসেছি, নেয়ার জন্য নয়। কটিয়াদী-পাকুন্দিয়াবাসীর কল্যাণের জন্য নিজেকে বিলিয়ে দিতে চাই।’

এ সময় তার সঙ্গে কটিয়াদী উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। নূর মোহাম্মদের এমন আগাম নির্বাচনী প্রচারণায় এলাকার সব মহলে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে।

বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারের সাবেক কর্মকর্তা নূর মোহাম্মদ ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে পুলিশের আইজি ছিলেন। এরপর মহাজোট সরকারের আমলে তাকে মরক্কোর অ্যাম্বাসেডর নিযুক্ত করা হয়। একই আমলে অ্যাম্বাসেডর থেকে ফিরিয়ে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিবের দায়িত্ব দেয়া হয়। গেল বছরের নভেম্বরে সরকারি চাকরি থেকে তিনি অবসরে গেছেন।

আগামী সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে নূর মোহাম্মদ বলেন, চাকরি জীবন থেকেই এলাকার মানুষের সুখে-দুঃখে আছি। আগামীতে আরো যাতে ভালোভাবে তাদের পাশে থাকতে পারি ওই চিন্তায় সংসদ সদস্য পদে নির্বাচন করতে চাই।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী সরকারি চাকরিজীবীরা অবসরের পরদিনই নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন। ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনের আগে এ আদেশ সংশোধন করা হয়েছে। তাই বর্তমানে সচিব পদে দায়িত্ব পালন করছেন এমন অনেককেই আগামীতে নির্বাচনী মাঠে দেখা যেতে পারে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর